আজ রোববার থেকে আগামী চারদিন সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যাপক লোকসমাগম হওয়ার আশঙ্কা থেকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সংস্থাটি।
রোববার (২৪ আগস্ট) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ইসি ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ, ভবনের ভিতরের আইন-শৃঙ্খলার রক্ষায় রয়েছে কোস্ট গার্ড। এছাড়া ভবনের সামনে তৈরি করা হয়েছে দুটি ছাউনি আর শুনানি চলছে ইসির অডিটোরিয়ামে।
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, শুনানি উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নির্বাচন ভবনের ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
জানা যায়, ২৪ আগস্ট কুমিল্লা অঞ্চলের ৬৮৩টি দাবি-আপত্তির শুনানি করা হবে। ২৫ আগস্ট খুলনা অঞ্চলের ৯৮টি, বরিশাল অঞ্চলের ৩৮১টি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২০টি দাবি আপত্তির শুনানি হবে। ২৬ আগস্ট ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬টি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। ২৭ আগস্ট রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরে ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দু’টি দাবি আপত্তির শুনানি হবে।
গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি আপত্তি জমা পড়ে ইসিতে। এগুলোই নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো- পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরিয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন। ইসির প্রকাশিত ওই খসড়ার তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়।
আগে বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি; বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া; বাগেরহাট-৩ রামপাল এবং মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং সরণখোলা; এই চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।
খসড়ায় বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।
সীমানা আপত্তি নিয়ে অনেকে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ করায় এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চারদিন আবেদন শুনানি শেষে তা পর্যালোচনা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
নদীবন্দর/ইপিটি