1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বুয়েট শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার সাহস প্রশাসন কোথায় পায়: সারজিস - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পুলিশের লাঠিচার্জ, ক্ষোভ প্রকাশ করে বুয়েট প্রশাসনের বিবৃতি বুয়েট শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার সাহস প্রশাসন কোথায় পায়: সারজিস ডিএমপি ডিবির নতুন প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম একসঙ্গে ২২৫ কর পরিদর্শককে বদলি ভারতের পানির চাপ কমাতে বাঁধ উড়িয়ে দিল পাকিস্তান প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই উপদেষ্টার বৈঠকেও আসেনি সমাধান আন্দোলনে স্থবির শাহবাগ, রাতেও সড়কে অবস্থান বুয়েট শিক্ষার্থীদের ‘শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ‘ভূতের মুখে রাম নাম’: অ্যাটর্নি জেনারেল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হতে পারে নির্বাচনি রোডম্যাপ: ইসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে চার উপদেষ্টাসহ ৮ সদস্যের কমিটি
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

পুলিশের হাতে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।

তিনি বলেছেন, ‘পুলিশকে দিয়ে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে রক্তাক্ত করার সাহস এই প্রশাসন কোথায় পায় সেই জবাব তাদেরকে দিতে হবে।’

বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সারজিস আলম এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ‘পুলিশকে দিয়ে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার সাহস এই প্রশাসন কোথায় পায় সেই জবাব তাদের দিতে হবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে এবং সকল প্রকার কোটার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় জারি থাকবে। বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিটি যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদের ওপরে হামলায় যারা জড়িত তাদের ধিক্কার জানাই।’

এর আগে ‘রক্তাক্তে’র ঘটনায় পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজও। বুধবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ আর গেল না।’

ফাইয়াজ বলেন, ‘মিন্টো রোডের সামনে আসার পরে কোনো ব্যারিকেড নেই, পুলিশ নেই। রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলছে। আমরা কয়েকজন মিলে থামালাম সবাইকে। ছবির ভদ্রলোক (ডিসি মাসুদ আলম) এসে ২০ ব্যাচের এক ভাইয়ের গলা চেপে ধরলেন। বেশ কয়েকজনকে ঘুষি-লাথি দিলেন পেছন থেকে এসে। আমাদের আজকের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ছিল ঢাকার বাইরের। দেখে খেপে গিয়ে তারা মিন্টো রোডে ঢুকল।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে তারপরে সামনে গিয়ে থামালাম কয়েকজন ভাইকে নিয়ে। এর মিনিটখানেক পর দেখি হঠাৎ পায়ের নিচে সাউন্ড গ্রেনেড আর লাঠিচার্জ শুরু। আমি পেছনে ঘুরে সবাইকে আটকে রেখেছি। আর হঠাৎ পুলিশ এসে লাঠিচার্জ।’

‘এরপরে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গেল। যমুনার কোনো এক সিকিউরিটি ইনচার্জ এসে বললেন, বাবা, তুমি ওদের পেছাতে বলো একটু গিয়ে। আমি কিছু কথা বলে বললাম, আপনারা টিয়ার শেল বা সাউন্ড গ্রেনেড আর মাইরেন না, আমরা পেছাচ্ছি। অথচ শিক্ষার্থীরা যাওয়ার আগেই টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ব্যবহার করল। যাকেই একা পেয়েছে, ধরে পেটিয়েছে। একজনের মেরুদণ্ডে স্প্লিন্টার ঢুকে গেছে।’ ফাইয়াজ আরও বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর হামলার পর যদি ম্যাও ম্যাও করে সবাই পালাইতো তাহলে আজ হাসিনার সরকারই থাকত। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ছাত্ররা আগে হামলা করেছে এর সত্যতা জুলাইয়ে ২০০০ পুলিশ নিহত হওয়া থেকে বিন্দুমাত্র বেশি নয়। হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ আর গেল না।’

নদীবন্দর/জেএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com