বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানান তারা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এন.এম. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে চাকুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অধিকার সুরক্ষা ও সুসংহত করাসহ সংশ্লিষ্ট গ্রেডে কোটা সংক্রান্ত বৈষম্য দূর করার দাবীতে গত কয়েকদিন ধরে বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। এ প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে দ্রুততম সময়ে শিক্ষার্থীদের দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান। এর ধারাবাহিকতায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিসমূহের যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উল্লিখিত দাবীদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের উপর টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের বদলে পুলিশ কর্তৃক এহেন নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলা করা হয়েছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুয়েট প্রশাসন পুলিশের এহেন আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে এ হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বুয়েট প্রশাসন আশা করছে।
নদীবন্দর/জেএস