ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল বৈঠকে বহিরাগতদের হামলাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি। এসময় হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে গেলে ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নান মারুফ, সদস্য আসিফ শওকত কল্লোল, সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদসহ কয়েকজনকে নাজেহাল করা হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ডিআরইউ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি গোলটেবিল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একদল ব্যক্তি নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে অনুষ্ঠান করার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে কতিপয় লোক গতকালই (বুধবার) ফেসবুকে হুমকি দিয়ে প্রচারণা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানাকে অবহিত করার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত হওয়ায় হঠাৎ করেই একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে মব সৃষ্টির চেষ্টো করে। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর পুলিশকে অবহিত করার পর তারা এসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিআরইউতে অনুষ্ঠান চলাকালে এ ধরনের ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের সময়েও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সকলের কথা বলার সুযোগ ছিল। গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তৎকালীন সরকারের বাধার মুখেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া নাহিদ, সারজিস ও হাসনাতরা এখানে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউতে দল-মত-পথ নির্বিশেষে সবার কথা বলার সুযোগ ছিল। কখনও ডিআরইউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কারো হস্তক্ষেপ ছিল না। তাই আগামী দিনে কেউ এর ব্যতয় ঘটালে ডিআরইউ তা প্রতিহত করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নদীবন্দর/জেএস