রাজধানীতে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট ক্রসিংয়ের দক্ষিণ পাশে দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক বিভাগের এক কনস্টেবল। ওই সময় তিনি উত্তর দিকের যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিগন্যাল দেন। এতে একটি প্রাইভেটকার থামলে গাড়ির আরোহী ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে ওই ব্যক্তি ৬-৭টি মোটরসাইকেলে প্রায় ১০-১২ জন লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হন ট্রাফিক কনস্টেবল। পাশে থাকা বিট পুলিশ কর্মকর্তা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর বেতার বার্তার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে খিলগাঁও থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়।
ডিএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আনোয়ারসহ আরও দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় পুলিশের ওপর হামলা, দায়িত্ব পালনে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, খিলগাঁওয়ে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মুগদা জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক।
নদীবন্দর/ইপিটি