বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরছেন বলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানানোর পরদিন আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও সে দিকে ইঙ্গিত দিলেন। জানালেন, শিগগির তারেক রহমান দেশে ফিরবেন এবং সেই দিনটি ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া তারেক রহমানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়েই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে আসার মধ্য দিয়েই নির্বাচন নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, সেদিন নির্বাচনের সবকিছু প্রতিষ্ঠা হবে, বলছি না নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে বিএনপির নির্বাচনের কাজ অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে। প্রচারণাতো নির্বাচনের মূল বিষয়, সেদিন বিএনপির অর্ধেক প্রচারণাও হয়ে যাবে।
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে রমজানের এক সপ্তাহে আগে অথবা তারও আগে নির্বাচন হতে পারে। এ পথে যারা কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের সবার প্রতি নসিহত- দেশ এখন নির্বাচনি আবহে আছে, সারাদেশে নির্বাচনি আমেজ তৈরি হয়েছে।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক এবং বিভিন্ন বিষয়ে একমত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মেজর ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত দিলে আগামী নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানে হবে, সেগুলোর বাস্তাবায়ন সংসদের মাধ্যমে হবে বলেও জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে সবাই স্বাক্ষর করবে, ওয়েবসাইটে তা পাবলিশ হবে, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনি ইশতেহারেও জুলাই সনদের ঐকমত্যের বিষয়গুলোতে অঙ্গীকার করবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস শুধু আওয়ামী লীগের। আজকে দেখা গেল, এক জায়গায় বলছে জয়, দৌড়াতে দৌড়াতে দেড় মাইল দূরে গিয়ে বলছে বাংলা… এই হলো (আওয়ামী লীগ) তাদের অবস্থা। তারা যেন আর দাঁড়াতে না পারে, সে রাজনীতি করবে আগামীর নেতৃত্ব।
নদীবন্দর/জেএস