কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।
এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, কাতারে হামলার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরআগে গতকাল সোমবার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল আমার শর্তাবলী মেনে নিয়েছে এবং হামাসেরও তা মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। আমি হামাসকে মেনে না নেওয়ার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার শেষ সতর্কীকরণ, আর কখনও হবে না!’
ট্রাম্পের এই সতর্কবার্তার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই হামাস নেতাদের ওপর হামলা চালাল ইসরায়েল।
এদিকে এই হামলার বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘দোহায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্ভবত তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রথম মন্তব্য করবেন। এছাড়াও সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই সময় প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
অন্যদিকে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি (আল উদেইদ) জানিয়েছে, তারা এই হামলার সম্পর্কে আগে থেকে অবগত ছিল না এবং পরে তাদের জানানো হয়েছিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে এক বৈঠকে আলোচনার সময় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাল।
এদিকে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
কাতারের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতি বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের সমন্বয়ে হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামাসের এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ইসরায়েলের ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।’
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা
নদীবন্দর/এএস