ত্রয়োদশ সংসদের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাবের খবর সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩০০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আপনারা কোথায় দেখেছেন জানি না। আমাকে কোট করেছে, আমি নাকি অনুমোদন করেছি। প্রশ্নই আসে না, কোনও (মন্ত্রীর) গাড়ি কেনার জন্য আমরা এসব করিনি।
“জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি তো সেই প্রস্তাব বন্ধ করে দিয়েছি। বলেছি, এ গাড়ি কেনা হবে না। তবে আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে মাঠ প্রশাসনের ব্যবহারের জন্য ৩০০ গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
চট্টগ্রাম বন্দরে আগের সংসদের সদস্যদের জন্য আসা কিছু শুল্কমুক্ত গাড়ি জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্কমুক্ত ৬০টি গাড়ি কিন্তু সিজ করা হয়েছে। সেগুলো বেশ দামি গাড়ি। এমপিদের ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি সেখানে রয়েছে। একেকটা পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা। সেগুলো যখন এনবিআর অকশন করতে গেছে, দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা করে। আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলেছি, এগুলো বিক্রি করার দরকার নেই। এগুলো পরিবহন পুলে যোগ করে দিতে বলেছি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, জাপানে এক লাখ কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য জাপানি ভাষা শিখতে হবে। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের দক্ষতা থাকলেই দেশটিতে চাকরির সুযোগ মিলবে।
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে ২২টি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করার চিন্তাভাবনা চলছে।
তবে কোনো ব্যাংক এভাবে একীভূত হয়ে গেলেও আমানতকারীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
নদীবন্দর/এএস