ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) ঘিরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। সেখানে জটলা বেঁধে থাকা নেতাকর্মীদের সরাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনে ভোট কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর বিকেল থেকে উৎসুক জনতা ও জামায়াত-বিএনপি’র দলীর কর্মীরা ভিড় করছেন।
এদিকে, শাহবাগ মোড়ে জটলা বেঁধে অপেক্ষায় থাকা জামায়াতের নেতাকর্মীরা কিছুক্ষণ পরপর বলছেন, তারা পুরো প্যানেলসহ ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়ে যাচ্ছেন। ফলাফল ঘোষণা হলেই তারা বিজয়ী হবেন। অন্যদিকে, যুবদল-ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি করছেন, ছাত্রদল সমর্থিত পুরো প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ের কাছাকাছি। প্রতিটি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
দুই রাজনৈতিক দল ছাড়াও সাধারণ উৎসুক জনতা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, ডাকসুর এ নির্বাচন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের একটি প্রতীক। আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা এ নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান বলেন, আজ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল শতভাগ জয়ী হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে আমরা জয়ী হয়েছি। আমাদের এ জয় খুব সন্নিকটে। আমরা ফলাফলের অপেক্ষায় শাহবাগ অবস্থান করছি। বিজয় মিছিল নিয়েই আমরা এখান থেকে যাবো।
জুলাই ফোর্স-এর আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা চাই দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আভাস আসবে। ডাকসুর এ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী নেতৃত্ব কেমন হবে তা নির্ধারণ হবে। হাসিনার আমলের তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভেট দিতে পারেনি। এ ভোটগুলোর সময় প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে কুকুর-বিড়াল ঘুমিয়েছে। সাধারণ জনগণ হাসিনার এসব ভোট বর্জন করেছিল। আমরা এবার ডাকসুর এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ থেকে সাদিক-কাইয়ুম প্যানেলকে জয়ী করে বাংলদেশ থেকে ভারতীয় দখলদারিত্ব ও গোলামি এদেশ থেকে বিদায় করব। আমরা চাই এদেশের প্রতিটি মানুষ ডাকসুর এ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা বেছে নেবে।
নদীবন্দর/জেএস