জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পরপরই ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে হলটিতে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনার সূত্রপাত। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না। অভিযোগের পরপরই সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রশিবির সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখন, যখন ছাত্রদল-সমর্থিত ভিপি প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। কেন্দ্রের ভেতরে পুরুষ প্রার্থীর প্রবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অন্য প্যানেলের প্রার্থীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানান।
পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা হলে আসেন। তবে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত বা অভিযোগ সম্পর্কে তারা গণমাধ্যমকে কিছু জানাননি।
এদিকে একই সময় আরেকটি ঘটনার সূত্র ধরে বিতর্কে জড়িয়েছে ছাত্রদল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহানকে আটক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট বেলা ১১টার দিকে হলের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করেন। উল্লেখ্য, ওই কক্ষে থাকতেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান মুরাদ, যারও ছাত্রত্ব নেই।
আটক হওয়া হাফিজুর রহমান সোহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ৩৬তম ব্যাচের (২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্র ছিলেন।
নির্বাচনের দিনে এসব ঘটনায় ভোটের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়া ও অবৈধ অবস্থানের মতো ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে নানা আলোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ফজিলাতুন্নেছা হলের ভোট বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
নদীবন্দর/জেএস