পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রা সমুদ্রবন্দরে প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ বেড়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৯৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সংশোধনীতে ৫৩৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে সভায় অংশ নেন।
একনেক সভা শেষে দুপুরে এনইসিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নিশ্চিত করা গেলে পায়রা বন্দরের পুরো কার্যক্রম চালু করা যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে সব সময় কন্টেইনার জট লেগে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ পায়রা বন্দরকে পুরোপুরি চালু করা গেলে দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীরা পায়রা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যেমন উন্নতি হবে, তেমনি দেশও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।
সংশোধিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৯৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সংশোধনীতে ৫৩৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদও বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, এখন সময় বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।
নদী বন্দর / এমকে