1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের আবিষ্কৃত সেই করোনার টিকা - Nadibandar.com
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

এবার ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের আবিষ্কৃত সেই করোনার টিকা। মার্কিন পেটেন্ট পেয়েছে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি কোভিড-১৯ এমআরএনএ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি এসব কথা জানানো হয়। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ওষুধ সংক্রান্ত পেটেন্টের এই অর্জনকেই বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে গ্লোব বায়োটেক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় যখন মানুষ বিপর্যস্ত, তখন গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানী কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানার তত্ত্বাবধানে ‘কোভিড-১৯’ শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ আবিষ্কারের গবেষণা শুরু হয়। এ গবেষণার ফলশ্রুতিতে তৈরি টিকাটি বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কর্তৃক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পায়।

এই ধারাবাহিকতায় টিকাটির টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকুয়েন্স ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডেটাবেসে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এক ডোজের এই এমআরএনএ টিকার গবেষণাপত্র মার্কিন মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’-এ এবং টিকা উৎপাদনের মৌলিক প্রযুক্তি যুক্তরাজ্যের নেচার জার্নাল ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২০২০ সালে গ্লোব বায়োটেকের এই টিকাকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বানরের উপর ট্রায়ালে এই টিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে বানরের উপর টিকার প্রথম ট্রায়াল।

প্রসঙ্গত, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কোম্পানিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’ ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আথ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চরক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য আধুনিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।

গ্লোব বায়োটেক জানায়, এটি তাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত মৌলিক প্রযুক্তির এমআরএনএ টিকা। ন্যানোটেকনোলজির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই টিকা এক ডোজেই কার্যকর এবং বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষম। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের আধুনিক ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। এটি বাংলাদেশের চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পেটেন্টের প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে, নিরাপদ ও কার্যকরী টিকা উৎপাদন করে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও সম্ভব। এছাড়া ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টিকা আবিষ্কারের এই পেটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নদীবন্দর/এএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com