ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের তিন জেলায় স্বল্পমেয়াদী বন্যা এবং ছয় জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু স্থানে এবং উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও মিজোরাম প্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরা প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ অবস্থায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি আগামী ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগামী ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে তিন্তা ও দুধকুমার নদীসমূহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, সাঙ্গু ও ফেনী নদীসমূহের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে হালদা ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি হ্রাস পেয়েছে। উক্ত নদীসমূহের পানি আগামী ২ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুলাই, কংস ও জিঞ্জিরাম নদীসমূহের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত নদীসমূহের পানি আগামী ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলার নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
নদীবন্দর/এএস