মাদারীপুরের শিবচর পৌর বাজারে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাকিব মাদবর (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। নিহত রাকিব একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে এলাকায় ফিরে আসেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সর্দারের লোকজনের সঙ্গে রাকিব মাদবরদের বিরোধ চলছিল। গত ৬ মে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আবুল কালাম সর্দারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন রাকিব মাদবর। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিবচর পৌর বাজারের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) শাখার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জন প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি কোপানোর পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাকিব চরশ্যামাইল গ্রামের নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কয়েক মাস আগে ইবনে সামাদ হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন রাকিব। সেই ঘটনার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ মে পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলার চরশ্যামাইল সর্দারকান্দি এলাকায় আবুল কালাম সর্দারের ছেলে ইবনে সামাদকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। ঢাকায় ২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। সেই মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন নিহত রাকিব। নিহতের পরিবার দাবি করেছে, প্রতিপক্ষই তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
নদীবন্দর/জেএস