চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ভৈরব নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে নিম্নাঞ্চলের জমি তলিয়ে গেছে এবং একটি সেতুর অংশবিশেষ ভেঙে পড়েছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার বিকেল থেকে নদীর পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের জোল মাঠ এলাকায় নদীর ওপরে নির্মিত একটি ব্রিজ আংশিকভাবে ভেঙে যায়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভৈরব নদীর তীব্র স্রোতে কৃষকদের দেওয়া জাগ পাট ভেসে গেছে এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি আংশিক প্লাবিত হয়েছে। তবে পানির উচ্চতা কতটা বেড়েছে কিংবা কৃষকদের ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুর পর্যন্ত পানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ বিকেল থেকে আচমকা স্রোত বইতে শুরু করে। পরিস্থিতি দেখতে শত শত মানুষ নদীর তীরে ভিড় করেন। কেউ কেউ স্রোতের মধ্যে মাছও ধরেন। তবে হঠাৎ পানি বাড়ায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও শঙ্কা কাটেনি।
মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা ফৌজিয়া আক্তার বলেন, এ বছর অনেক বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু ভৈরব নদীতে এমন স্রোত কখনো দেখিনি। বিকাল থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
সন্তোষপুর গ্রামের আব্দুল হাই সিকদার বলেন, দুপুরে পানি ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বিকেলের পর অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তে থাকে।
স্থানীয়দের ধারণা, উজানে ভারি বর্ষণ কিংবা কোনো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে নদীতে হঠাৎ পানির স্রোত বেড়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে আরও জমি তলিয়ে যেতে পারে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে।
এ ঘটনায় এখনো প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদকে পাওয়া যায়নি।
নদীবন্দর/জেএস