অনেক নাটকীয়তার পর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এই পর্বের প্রথম ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। শুরুটা বাংলাদেশ ভালো করলেও ক্যাচ মিসের মহরায় আর মুস্তাফিজ বাদে অন্যদের বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। তাতে শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাড় করায়।
সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেএশিয়া কাপের সুপার ফোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান সাইফ হাসান। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৪ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন সাইফ।
দলীয় ৬০ রানে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। তিনি ১৬ বলে তিন বাউন্ডারিতি ২৩ রান করে ফেরেন। অঅধিনায়ক আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেখলেও ব্যাটিং ঝড় চালিয়ে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন সাইফ।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি বেশ ভুগিয়েছে টাইগারদের। মেন্ডিস-নিশানকা ৫ ওভারের আগেই তুলছিলেন ৪৪ রান। তাসকিনের বলে ২২ রান করা নিশানকা ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
লংকান টপ অর্ডারের বাকিরা তেমন বড় স্কোর গড়তে পারেননি। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই মেন্ডিস ৩৪ রানে ফেরেন মাহেদির বলে। মিশরাকেও মাত্র ৫ রানে ফিরিয়েছেন মাহেদি। ১৬ রান করা কুশল পেরেরা ফিরেছেন মুস্তাফিজের আঘাতে। ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে ছিল শ্রীলঙ্কা।
এরপর দলকে বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দাসুন শানাকা। ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা। অন্য প্রান্তে অবশ্য তাকে তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। মিডল অর্ডারের বিপর্যয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
নদীবন্দর/জেএস