জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আহ্বানে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়। ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো মেয়াদের শেষ দিনে বৈঠকটি চলছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে।
এর আগে কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই কমিশনের প্রধান।
জানা গেছে, ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। আগামী শুক্রবার এই সনদে স্বাক্ষর হওয়ার কথা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। তবে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে কমিশন আলাদা সুপারিশ দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করার বিষয়ে একমত হলেও ভোটের দিন ও পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। কোনো কোনো দল সনদে সই করার আগে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে নিশ্চয়তা চাইছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখানে দলটির পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান তুলে ধরা হয়। ‘সংবিধান আদেশ’ জারির মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে না নিলে এনসিপি সনদে সই করবে না বলে বৈঠকে জানানো হয়।
এদিকে চূড়ান্ত করা জুলাই সনদে বাস্তবায়নের পদ্ধতি উল্লেখ না থাকায় জামায়াতে ইসলামী সই করবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। তবে এ বিষয়ে দলটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এ ছাড়া বামপন্থী একাধিক দলও সনদে সই না করার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি সনদের অঙ্গীকার অংশে একটি ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু কমিশন তা গ্রহণ করেনি।
নদীবন্দর/জেএস