নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ আট দলের সমাবেশ শেষ হয়েছে বিকেল চারটায়। কিন্তু সমাবেশ শেষ হলেও পল্টন এলাকার রাস্তাগুলো এখনো সচল হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত মানুষ। বিশেষ করে অফিস শেষ করে ঘরমুখো মানুষের রাস্তাতেই সময় কাটছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পল্টন, গুলিস্তান, শিক্ষা ভবন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তবে যেকোনো সমাবেশ শেষে যানজট স্বাভাবিক হতে সময় লাগে বলে জানায় ট্রাফিক বিভাগ।
জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টা থেকে বন্ধ ছিল পল্টন হয়ে যাতায়াতকারী গুলিস্তান, শাহবাগ, সদরঘাট ও মতিঝিল রোডের যানবাহনগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার লোকজন। তবে সমাবেশ শেষ হলেও এখনো যানজট লেগে আছে পল্টন এলাকার আশপাশ জুড়ে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সচিবালের সামনে আব্দুল গনি রোড, শিক্ষা ভবনের সামনে, কদম ফোয়ারা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের দুই রাস্তা, পল্টন মোড় থেকে কাকরাইল যাওয়ার রাস্তায় যানবাহনের জট লেগেছে। ফলে সময় লাগছে এক একটি গাড়ি চলাচলে।
সমাবেশের বিপরীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। এর প্রভাব পড়েছে সড়কে।
সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে উত্তরার আজমপুর মোড়ে সমাবেশে আশা কর্মীরা ভিড় জমালে যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশ্য পরে তা স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু এতে ভোগান্তি ছিল চরম।
জামায়াতের সমাবেশ শেষ হবার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে পল্টন মোড়ে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ জুড়ে গাড়ির গতি কম থাকায় রাস্তা পরিষ্কার হলেও গাড়ির জট লেগেছে।
সচিবালয় শেষ করে বাসার উদ্দেশে রওনা হওয়া চাকরিজীবীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে আব্দুল গনি রোডে যানজট লেগে আছে। এখনো তা স্বাভাবিক হয়নি।
এ বিষয়ে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের এডিসি ফজলুর করিম বলেন, সমাবেশ শেষ হয়েছে কিন্তু দীর্ঘ সময় পল্টন মোড় বন্ধ থাকায় আশেপাশের রাস্তাগুলোতে যানজট আছে। ফলে তা স্বাভাবিক হতে খানিকটা সমবে লাগবে।
নদীবন্দর/জেএস