ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের পাশে গৌরার হাওরে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বাউসা গ্রামের মানিক মিয়া সম্প্রতি জনতা বাজারের ২ শতাংশ জমি মাখনা গ্রামের ফৌজদার খানের কাছে বিক্রি করে দেয়। ফৌজদার খান ক্রয়কৃত জমিতে ব্যবসা করার জন্য আধা-পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ করে। দোকান ঘরটি তার জায়গায় চলে এসেছে এই অভিযোগ এনে মানিক মিয়া বাজার কমিটিসহ তার লোকজন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার নব-নির্মিত ফৌজদার খানের আধা পাঁকা টিনসেড দোকান ঘরটি ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় ফৌজদার খানের ছেলে সোহেল খান বাদী হয়ে বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুল হকসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এরই জের ধরে বুধবার বিকালে মাখনা ও বাউসা গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের কনষ্টেবল আরিফসহ অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত বাউসা গ্রামের মোজাম্মেল ও রুকেলের অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাকী আহত বাউসা গ্রামের খসরু, সাইদুল, আবু সাহেদ, পায়েল, সবুজ, লুৎফুর রহমান, কেন্তু মিয়া, টিপুল, তাইজুল ইসলাম এবং মাখনা গ্রামের সজুত মিয়া, ইছহাক মিয়া, সাইকুল ইসলাম, সুহেল মিয়া, হেকিমকে মদন ও পাশবর্তী তাড়াইল উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদেরকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রধান করা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামানের সাথে যোহাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাজারে দোকান ঘর নির্মাণ ও ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। সংগর্ষে এক পুলিশসহ ২০/২৫ জন আহত হয়েছে। ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে