1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ঝুঁকিতে মনপুরা দ্বীপের বাসিন্দারা - Nadibandar.com
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৬৫ বার পঠিত

ঘুর্ণিঝড় ও মেঘনার জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ না নেয়ায় প্লাবন ঝুঁকিতে রয়েছে ভোলার সাগরকূলের মনপুরার লক্ষাধিক মানুষ। গতবর্ষায় উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আসন্ন বর্ষার আগেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

তাদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে করা বাঁধগুলো নিম্নমানের হওয়ায় স্থায়ী হচ্ছে না। এতে সরকারি টাকা যেমন ভেস্তে যাচ্ছে অন্যদিকে ক্ষতি গুনতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তবে বর্ষার আগেই বাঁধগুলো কার্যকর করার পাশাপাশি স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প জমা দেয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

চারদিকে নদীবেষ্টিত বিছিন্ন মনপুরা উপজেলাকে মেঘনার ঢল থেকে রক্ষায় ৭৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত বছরে ঘুর্ণিঝড় আম্পান ও জোয়ারের আঘাতে প্রায় ১০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের সূর্যমুখী ও সীবিচ এলাকায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার, হাজির হাটের দক্ষিণ পাশে ৬শ’ মিটার ও চৌমুহনী বাজার এলাকায় ৮শ’ মিটারসহ প্রায় ৬ কিলোমিটার বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। 

সামান্য ঝড় জ্বলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত এসব বাঁধ ছুটে লোকালয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ক্ষেতের ফসল আর ঘরবাড়ি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। বর্ষার আগেই নিরাপত্তা বলয় জোরদার করার দাবি এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী জানান, বেড়ির দুই পাশ থেকে মাটি কাটা হয়। এখান থেকে উঠায়ে বস্তায় ভরে বালি দেয়। বেড়ি বাধ যদি ভালোভাবে না করা হয় তাহলে আমদের সবকিছু নদীতে চলে যাবে। 

স্থানীয়দের মতে, উপজেলার এ শীর্ষ কর্মকর্তাও ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে উন্নয়ন টেকসই করতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দিলেন।

ভোলার মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামিম মিঞা বলেন, উন্নয়নটা কিন্তু ঠেকে আছে মনপুরা বাঁধের ওপর। বাঁধগুলো যদি শক্ত হয়, স্থায়ী হয় তাহলে উন্নয়ন সম্ভব হবে।

স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে বর্ষার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা। আর প্রকল্প শিগগিরই অনুমোদনের আশ্বাস দিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, আমরা বাজেট চাইবো যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাধকে কার্যকর অবস্থায় নিয়ে আসতে পারি। 

ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই এই এরিয়াসহ সমস্ত মনপুরাকে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প পাশ করবো এবং বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। 

পর্যটনের সম্ভাবনাময় এ জনপদের ৫২ কিলোমিটার মেঘনার তীর সংরক্ষণে দেড় হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com