আরিচা-কাজীর হাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুর খবরে স্বপ্ন বুনছেন যমুনা পাড়ের মানুষ। এতে বেড়েছে আরিচা-কাজির হাট নৌরুটের যাত্রীর সংখ্যা। এখন লঞ্চ ও স্পিডবোট চললেও তা রাতে বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। অল্প-সময়ের মধ্যে নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি যাত্রীদের। ঘাট কর্তৃপক্ষ দাবি, ফেরি চালুর জন্য ড্রেজিং, বিকন বাতি ও মার্কিং পয়েন্ট স্থাপনসহ ফেরিঘাট নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ নৌরুটটি পুরোপুরি চালুর কথা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির মেরিন বিভাগ।
দুই যুগ পর আরিচার ও কাজির হাটের ৩ নম্বর ঘাট সংস্কার, চ্যানেলের ড্রেজিং, বিকন বাতি ও মার্কিং পয়েন্ট স্থাপনসহ পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি টায়ালের কাজও শেষ করা হয়েছে। চলছে ২১টি স্পিডবোট ও ১৫টি লঞ্চও। সময় কম লাগায় যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। তবে রাতে এসব নৌযান না চলায় ও যানবাহন পার না হওয়ায় বিপাকে যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকরা। ফেরি সার্ভিস চালুর খবরে স্বপ্ন দেখছেন মানুষ।
চলতি মাসেই প্রথমে চারটি ফেরি দিয়ে সার্ভিসটি চালু করা হলেও যানবাহন চাপ বাড়লে বাড়বে ফেরি সংখ্যাও জানিয়েছেন সারেং।
আরিচা ৩নং পল্টুন বিআইডব্লিউটিসি সারেং মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, চারটি ফেরি আপাতত চলছে। যদি যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে ফেরির সংখ্যাও বাড়বে।
দুই যুগ আগে বন্ধ হওয়ায় ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষতি নিরসনে দ্রুত এ নৌরুট চালুর দাবি দু-পাড়ের বন্দর ব্যবসায়ীদেরও।
চলতি মাসেই চালু হতে যাচ্ছে এ নৌরুটটি, জানিয়েছে বিআইডব্লিউটির মেরিন বিভাগ।
আরিচা আঞ্চল বিআইডব্লিউটিসি মেরিন বিভাগের এ জি এম মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ফেরি সার্ভিস দ্রুত করার জন্য কাজ চলছে। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই ফেরি সার্ভিস চালু করতে সক্ষম হবো।
১৯৯৭ সালে যমুনা সেতু চালু পর যমুনা তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলে আর ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট চালু হলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় আরিচা-কাজির হাট নৌরুট।
নদী বন্দর / এমকে