ভোলার দৌলতখানের মেঘনার মধ্যবর্তী চরপদ্মায় ধসে যাওয়া সেতুর উপর সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা। গত বছর ঘুর্ণিঝড় আম্পানে এলাকার একমাত্র সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার সহস্রাধিক মানুষ। দুর্ভোগ লাগবে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।
তবে সেতু নির্মাণকারী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা বলছেন, ভাঙনের কারণে ব্রিজের ৩/৪ শ’ ফুটের মধ্যে মেঘনা নদী চলে আসায় অন্য স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দৌলতখান উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) এইচ. এম আনসার জানান, ২০২১-২০১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অর্থায়নে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে মদনপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের উপর ৩৪ ফুট দৈর্ঘের ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদার সেতুটি হস্তান্তরের আগেই ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে মেঘনার অতি জোয়ারে সেতুটি দেবে যায়। সেতু নির্মাণের চুক্তির ৩২ লাখ টাকার মধ্যে ঠিকাদারের অনুকুলে ৭ লাখ টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। হস্তান্তরের আগেই ধসে যাওয়ায় সুবিধাজনক অন্যস্থানে আবারও সেতুটি নির্মাণ করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, যখন এ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল তখন নদী অনেক দুরে ছিল। গত ২/৩ বছরের মেঘনার ভাঙনে নদী কাছে চলে এসেছে। অনেকের ঘরবাড়ি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ওই এলাকায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা দরকার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্পানে পানির উচ্চতা ও গতি বেশি ছিল। ওই ঢেউয়ের আঘাতে সেতুটি দেবে যায়। বর্তমানে মেঘনা নদী ওই সেতু থেকে ৩ থেকে ৪০০ ফুট দূরে। নদীভাঙন অব্যাহত থাকায় আগের জায়গায় সেতু নির্মাণ না করে সুবিধাজনক অন্য জায়গায় পুনঃনির্মাণ করার কথা বলেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় ওই এলাকার সহস্রাধিক মানুষ বিকল্প উপায়ে চলাচল করছে। এসে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নদী বন্দর / জিকে