বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি এলাকায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নবজাতক (বয়স ৩ দিন) নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে নবজাতকের মা ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নবজাতক বরগুনা সদর উপজেলার এনায়েত খান ও জুই আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন-নবজাতকের মা জুঁই আক্তার, নানি ইতি বেগম, মামা মো. সাগর, অ্যাম্বুলেন্স চালক রেজাউল, হেলপার জহিরুল, নিহতের মামার বন্ধু প্রশান্ত কুমার এবং প্রতিবেশী শাহিনুর বেগম।
বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ বিন আলম জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন দিন আগে সিজারের মাধ্যমে ইতি বেগম কন্যাসন্তান জন্ম দেন। ওই নবজাতক পাঁচ মাসে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। জন্মানোর পর অসুস্থ ছিল শিশুটি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাকে নিয়ে স্বজনরা ঢাকার শিশু হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি এলাকা অতিক্রমকালে অ্যাম্বুলেন্স ও চরমোনাই মাহফিলগামী মুসুল্লিদের বহন করা অনিক পরিবহন নামের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ও বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা আট যাত্রীই আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্য চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদেরকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে মাহফিলগামী বাসের কোনো যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। মাহফিলগামী বাসটি ফরিদপুর থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার কারণে ঘণ্টাখানেক মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হুদা জানান, আহতদের মধ্যে ইতি বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স চালক রেজাউলের দুই পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে