ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। নলকূপ না থাকায় এই জনপদের মানুষ এখনো কুয়ো ও পুকুরের পানি খাবারসহ গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করছেন। সংকট সমাধানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উদ্যোগ না থাকায় হতাশ এই অঞ্চলের মানুষ।
মেঘালয়ের পাদদেশে হালুয়াঘাটের গারো পাহাড়ের গাবড়াখালি গ্রামের সালামা বেগম। নলকূপের পানির ব্যবস্থা না থাকায় পাশের বাড়ির কুয়ো থেকে পানি এনে খাবারসহ সংসারের কাজ সারেন।
গৃহবধূ সালামা বেগম জানান, এই পাহাড় এলাকায় পানির অনেক কষ্ট। আমরা কুয়োর পানি ব্যবহার করি কিন্তু গোসলের পানি থাকে না। ফাল্গুন-চৈত্র মাস এলে আমাদেরকে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
শুধু গাবড়াখালি নয়, হালুয়াঘাটের ডুমনিকুড়া, ভুটিয়াপাড়া, ধোবাউড়া উপজেলার দিঘলবাগ, ঘিলাগড়া, গোবরচুনা, রানীপুর, কড়ইগড়াসহ প্রায় ১০টি পাহাড়ি জনপদের মানুষের একই সমস্যা। দেশ এগিয়ে গেলেও তাদের খাবার পানির সমস্যার সমাধান হয়নি জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই কুয়োর পানি আমরা খাই এবং রান্নাবান্না করে থাকি। কিন্তু চৈত্র মাস এলে এই কুয়োতে পানি থাকে না। অন্য গ্রামে যাই খাবার পানি আনার জন্য। আমরা যাতে পানির কষ্ট না পাই, সরকার যেন পানির একটা ব্যবস্থা করে দেয়।
গাজিরভিটা ইউপি মেম্বার আবুল কাশেম বলেন, এই জায়গায় পানির ব্যবস্থা করতে পারলে এলাকার মানুষ ভালো পানি খেতে পারবে, এর ফলে তাদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী। তবে জেলা প্রশাসক জানান, নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের সহায়তায় নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা ছোট ছোট রিজার্ভারের চিন্তা করছি।
এসব পাহাড়ি জনপদের মানুষের পানির সদস্যা সমাধানে দ্রুতই উদ্যোগ নেবেন সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
নদী বন্দর / জিকে