শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পারে বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশনের নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লোকের বসবাস। এই বিশাল সংখ্যার লোকদের বন্দর ও নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট দিয়ে সদরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও কর্মস্থলে আসার জন্য শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাদিক লোক পারাপার হয়। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী লক্ষাধিক লোক পারাপার হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ঘাটটি টোল ফ্রি করেন এবং মাঝিদের ঘাট পরিচালনার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে বলেন, প্রতি ট্রলারে পনের জন লোক জনপ্রতি দুই টাকা করে পারাপার করবে। রিজার্ভ পঁচিশ টাকা করে পারাপার করবে। কোন অজুহাতে দুই টাকার বেশী টোল নেওয়া চলবে না।
ঘাট পরিচালনায় অনিয়ম ও শিশু ট্রলার চালক অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। অনেক সময় নৌকা ও ট্রলার ডুবির ঘটনাও ঘটছে। অনিয়ম ও দূর্ভোগের কথা স্থানীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও স্থানীয় প্রসাশনের নিরব থাকায় সমলোচনা করেন স্থানীয় জনগণ। যতই দিন যাচ্ছে আর যোগ হচ্ছে নতুন নতুন জন দূর্ভোগ। রাতের বেলায় জন দূর্ভোগ আরও চরম আকার ধারন করে। ট্রলারে জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পরও মিলেনা সেই ট্রলার, সিন্ডিকেট করে একটি ট্রলার চালু রাখে অধিক টাকার লোভে। কনকনে শীতে রাতের বেলায় যাত্রীদের নদীর পারে অপেক্ষা করতে হয়।
এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, এমপি সাহেব আমদের বিনা পয়সায় ঘাট পারাপারের ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু বন্দর ও নবীগঞ্জ ঘাটে কোন ফ্রি ট্রলার চলেনা। আমদের প্রতিদিন চার টাকা খরচ করে পারাপার হতে হয়।
সর্বশেষ ট্রলার ডুবির ঘটনায় সাদ্দাম (২৭) নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ পাওয়া যায়। এই খবরে স্থানীয় প্রসাশনের নিরব ভূমিকার জন্য সমলোচনা করেন স্থানীয় জনগন।
নদী বন্দর / জিকে