ত্রিশাল উপজেলায় ১৯৬৯ সালে স্থাপিত ৬৮ নম্বর কোনাবাড়ী জিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার পাশে পুকুর থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য দুইটি পাশাপাশি পুকুরের মাঝখানের সরু একটি ঝুঁকিপূর্ণ পথই ভরসা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের মাঠ বড় না থাকায় এর সামনের খালি জায়গা ও বারান্দায় খেলাধুলা করতে হয়। অনেক সময় পুকুরে খেলনা পড়ে গেলে সেটা আনতে পুকুরের পানিতে সাঁতার না-জানা সহপাঠীরা ডুবে যাওয়ার ভয়ে তা আনতে যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশে আগে আবাদি জমি ছিল। গত কয়েক বছরে এসব জমির অধিকাংশই মাছ চাষের জন্য গভীর করে খনন করা হয়। চারদিকে পুকুর কাটা হলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো রাস্তা রাখা হয়নি।
কোনাবাড়ী জিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল মওলা বলেন, পুকুরপাড়ের চার দিক দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই, পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বিষয়টি। অনেক সময় অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন। তিনি আরও বলেন, পুকুর মালিকদের বারবার অনুরোধ করেছি।
তারা যদি রাস্তাটি একটু বড় করার উদ্যোগ নিতেন তাহলে স্কুলের যাতায়াতব্যবস্থা সুন্দর হতো, ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করত নিরাপদভাবে। তারা আমাদের কথা তো শুনছেনই না, বরং স্কুলের জমি তাদের পুকুরের দখলে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
নদী বন্দর / জিকে