ছয় মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর পুরো অংশের স্ল্যাব আর রেলিং নির্মাণের কাজ শেষ করার কথার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ৬৬ শতাংশ কাজ। শুরু হয়েছে রেলিং বসানোর কাজও। প্রকল্প পরিচালক জানান, সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮৮ শতাংশ সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের জুনেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
স্বপ্নের দিকে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। সূচনা বিন্দু থেকে এখন ধাপে ধাপে শেষান্তের বেলা। মহাপরিকল্পনা সংযুক্ত করেছে দুই পাড় এখন সম্ভাবনা বাস্তবে রূপায়নে মসৃণ করার ক্ষণ। এ মুহূর্তে রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ২৮টি স্প্যানে বসে গেছে স্ল্যাব। যা মোট কাজের দুই তৃতীয়াংশ। জাজিরা প্রান্ত থেকে যতদূর চোখ যায় পুরোটুকুই জানান দেয় খুব বেশি সময় নেই লক্ষে পৌঁছানোর। যদিও এখনো মাঝে মাঝে বেশ কয়েকটি স্প্যান আর মাওয়া প্রান্তের কয়েকটি স্প্যানে বসেনি স্ল্যাব। পাশাপাশি এগোচ্ছে রেলিং বসানোর কাজও। রেলিংয়ের প্রিকাস্টের কাজ ৮৫ শতাংশ হলেও বাসানোর কাজ কেবল শুরু হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মূল সেতুর অগ্রগতি প্রায় ৯৩ ভাগ। নদী শাসনের কাজও বাকি সিকি ভাগের কম। ফেব্রুয়ারি শেষে সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের এখনো অনেক কাজ চলছে। রোড স্ল্যাব বসানোর কাজটি চারটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ চলছে। ভায়াডাক্ট, রেল স্ল্যাব আর বিদ্যুতের মূল লাইন টানা শেষ হলেই হাত পড়বে রাস্তা নির্মাণ এবং রোড লাইট নির্মাণে।
তিনি আরো বলেন, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য ছেড়ে দিতে পারব।
পদ্মার বুক চিরে গড়ে ওঠা এই সেতুর ওপর সড়ক হবে চার লেনের।
নদী বন্দর / পিকে