করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ২৪২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৮টি।
এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৯ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৯২ হাজার ৩৩২ জনে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ চার লাখ ২৩ হাজার ৮৪৫ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। সোমবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু সাত হাজার ৮৯ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৪১৩ জন (৭৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৬৭৬ জন(২৩ দশমিক শূন্য ৬৪ শতাংশ)।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১০ দশমিক শূন্য ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৭ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২৭ জন রয়েছেন। ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামের সাতজন, রাজশাহীতে একজন, সিলেট তিনজন ও সিলেট বিভাগের একজন রয়েছেন।
নদী বন্দর / জিকে