ভোলায় জাটকা সংরক্ষণে অভয়াশ্রমে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে নদীতে নামতে না পারে সেজন্য জেলা সদরসহ উপজেলায় ৭টি টিম এ অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার দায়ে জেলায় ২২ জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৩০ হাজার মিটার জাল, একটি ট্রলার ও ১ হাজার কেজি ইলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু আবদুল্লাহ খান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই আদেশ দেন।
সোমবার (০১ মার্চ) রাতে তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৫ জেলেকে আটক করে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী। জব্দ করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মিটার জাল ও ইলিশ। জালগুলো নদীর পাড়েই আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। আর আটক ৫ জনকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু আবদুল্লাহ খানের ভ্রাম্যমান আদালত ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
একই সময়ে চরফ্যাশনের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ ধরা অবস্থায় ১৭ জেলেকে আটক করা হয়। মাছধরার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার, ১০ হাজার মিটার জাল ও ১ মে. টন ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যম আটক ১৭ জনকে ১ মাস করে জেল দেয়া হয়। জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
জব্দ করা ট্রলারটি ৪৬ হাজার ৫শ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে সরকারি খাদ্য সহায়তার মধ্যে আনার দাবি কর্মহীন জেলেদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চলমান এ অভিযান সফল করতে স্থানীয় প্রশাসন সহ মৎস্য বিভাগ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাতে জেলেরা নদীতে নামতে না পারে সেজন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে কোস্ট গার্ডের সিনিয়র অফিসারদের নেতৃত্বে অভিযান চলছে মেঘনা নদীতে।
নদী বন্দর / এমকে