চুল দিয়ে মাথার ভিন্নধর্মী ক্যাপ বানিয়ে শিল্প সম্ভাবনা জেগে উঠেছে হিলি এলাকায়। আজীবন ঘরের কাজে নিয়োজিত গৃহবধূরা রোজগার করছেন কারখানায় শ্রম দিয়ে। এতে পরিবারে যেমন সচ্ছলতা ফিরছে, তেমনি রপ্তানির সুযোগে গড়ে উঠছে নতুন শিল্প। সংশ্লিষ্টরা চান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সহায়তার আশ্বাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
জানা গেছে, মতিহারা গ্রামের প্রত্যন্ত জনপদে তৈরি হওয়া ক্যাপ রপ্তানি হবে চীনে। সে লক্ষ্যে ব্যস্ত শ্রমিকরা। তাদের অনেকেই আগে শুধু ঘর-গৃহস্থালির কাজ করতেন। এখন পুরোদস্তুর অর্থ উপার্জনকারী।
মূল কাঁচামাল মানুষের মাথার চুল আসে চীন থেকে, তুলনামূলক কম দামে দক্ষ শ্রমিক পাওয়ায় এখানেই উৎপাদন করাতে আগ্রহী ক্রেতারা। ব্যবসায়িক বিবেচনায় হিসেব-নিকেশ যাই হোক না কেন, উৎপাদনের এ সুযোগ এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টাতে সক্ষম বলে মনে করেন সুমাইয়া হেয়ার ক্যাপ প্রতিষ্ঠানের মালিক তরিকুল ইসলাম।
সীমান্ত এলাকায় তেমন মিল-কারখানা না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে কোনমতে সংসার চালাতো পুরুষরা। নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ায় জীবনযাত্রার মান পাল্টেছে। আপাতত তিনশ’র মত শ্রমিক কাজ করছেন। নতুনদের দক্ষ করে তোলার কাজও চলছে। আগ্রহীদের জন্যও রয়েছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নারী সুপারভাইজার।
বহির্বিশ্বে এই ক্যাপের চাহিদা থাকায় আরো ৩টি কারখানা গড়ে উঠেছে, সবগুলো কারখানা চালু হলে অন্তত তিন হাজার নারীর কাজ করার সুযোগ হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। উদ্যোগকে স্বাগত জানান দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকও।
আপাতত ব্যক্তি উদ্যোগে চালু করলেও ভবিষ্যতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, সরকারি জমি বরাদ্দসহ বিশেষায়িত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান উদ্যোক্তারা।
নদী বন্দর / এমকে