নবীগঞ্জে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের নাদামপুর নামকস্থানে শাখাবরাক নদীতে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে ব্যক্তিস্বার্থের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছোট আকারের একটি কালভার্ট। এতে সামনের বর্ষা মৌসুমে ব্যাহত হবে নৌকা চলাচল। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নদীর মধ্যেখানে কালভার্ট নির্মাণের ফলে শাখাবরাক নদীর অস্তিত্ব হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন সচেতন মহল।
সরকার দেশের নদ-নদীর জায়গার দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে খননের উদ্যোগ নিলেও শাখাবরাক নদীতে কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে নদীটি। তবে কে বা কারা নদী ভরাট করে কালভার্ট নির্মাণ করছেন তা সরেজমিনে গিয়েও তাদের পরিচয় মেলেনি।
পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে শাখাবরাক নদীতে কালভার্ট নির্মাণের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। নাদামপুর গ্রামের সুন্দর আলী নামে এক বৃদ্ধ বলেন, রাজনৈতিক একটি অপশক্তি ব্যক্তিরা নদী ওপর ব্রিজ নির্মাণ না করে কালভার্ট নির্মাণ করছেন। এই কালভার্ট নির্মাণ হলে বর্ষা মৌসুমে আমাদের জমি থেকে বোরো ধান বাড়িতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না। কারণ এই কালভার্টের ভেতর দিয়ে ছোট ডিঙি নৌকা যাবে না।
সেলিম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, নদী ভরাট করে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে এখানে কালভার্ট নির্মাণ করার মানে হয় না। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। এভাবে আমাদের নদী বিলীন হতে দেওয়া যায় না। এই নদী দিয়ে এক সময় চলতো স্টিমার, জাহাজসহ বিশাল আকারের নৌকা। নদীর পাড়ের অধিকাংশ জায়গা চলে গেছে ভূমিখেকোদের দখলে। কালভার্ট নির্মাণ তার একটি অংশ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সিদ্দিক বলেন, কে বা কারা শাখাবরাক নদীতে কালভাট নির্মাণ করছেন। তিনি জানেন না, এটা তার পরিষদের কাজ নয় তবে তিনি অপরিকল্পিত কালর্ভাট নির্মাণে কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, শাখাবরাক নদীটি কুশিয়ার, মনু, বিজনা, খোয়াই নদীর সংযোগস্থল।
শাখবারক নদীটির ওপর এই কালভার্ট নির্মাণ হলে নদীর দু’পাড়ের বর্ষার পানি জমে হয়ে বিরাট ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে নদী খালের জায়গা উদ্ধার জলাশয় তৈরি করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন সেখানে এক শ্রেণীর লোক। এই কালভার্ট নির্মাণ করা তার বিপরীতমুখী কাজ। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
নদী বন্দর / পিকে