ত্বকে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে এসব চর্মরোগ হয়ে থাকে। তবে অনেকেই প্রথমদিকে এসব রোগকে উপেক্ষা করেন। যা হতে পারে মারাত্মক বিপদের কারণ।
তেমনই এক চর্মরোগ হলো ‘সোরিয়াসিস’। ত্বকের এ সমস্যায় ভুগছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এ রোগ ক্রনিক। তাই এর থেকে একবারে রেহাই মেলে না। বারবার এ ব্যাধি ঘুরে-ফিরে আসে।
যেকোনো বয়সের মানুষের শরীরে চর্মরোগটি হতে পারে। এ রোগ হলে ত্বকে লাল রঙা এক স্তর তৈরি হয়। ছোট ছোট ফুসকুড়িতে ভরে যায় ত্বকের বিভিন্ন স্থান। ফুসকুড়িতে চুলকানি ও ব্যথার পাশাপাশি ফোলা হতে পারে।
সাধারণত কনুইয়ের বাইরের অংশে এবং হাঁটুতে বেশি দেখা যায় সোরিয়াসিস। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে এ রোগ দেখা দেয়।
সোরিয়াসিসের উপসর্গ হিসেবে শুরুতে বুকে পিঠে হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে র্যাশ দেখা দেয়। পরবর্তীতে ত্বকের ওই অংশগুলো পুরু হয়ে আঁশ ওঠার মতো ত্বকের খোসা উঠতে শুরু করে।
শুরুতে চিকিৎসা না করলে শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। যদিও এ রোগের জন্য তেমন কোনো বিশেষ চিকিত্সা নেই। তবে নিয়মের মধ্যে থাকলে এর লক্ষণগুলো কম প্রকাশ পায়।
জেনে নিন সোরিয়াসিস থেকে বাঁচার ঘরোয়া কিছু উপায়-
>> ন্যাশনাল সোরিয়াসিস ফাউন্ডেশনের মতে, ফিশ অয়েল, ভিটামিন ডি, দুধ, অ্যালোভেরা, আঙুরের মতো ডায়েটিক পরিপূরক সোরিয়াসিসকে মূল থেকে নির্মূল করতে পারে।
>> সোরিয়াসিস থেকে বাঁচতে ত্বক অবশ্যই আর্দ্র রাখতে হবে। এজন্য বাড়ি বা অফিসে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
>> সুগন্ধযুক্ত সাবান এবং সুগন্ধী ব্যবহার করবেন না। এসবে উপস্থিত রাসায়নিক এবং রং আপনার ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। যাদের ত্বক সংবেদনশীল; তারা এ জাতীয় সাবান এড়িয়ে চলুন।
>> গরম পানি ত্বক চুলকানির কারণ হতে পারে। তাই রক সল্ট, দুধ বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে হালকা গরম ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে সোরিয়াসিসে চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।
>> যেকোনো চর্মরোগের দাওয়াই হিসেবে হলুদ কার্যকরী। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য তকের প্রদাহ দূর করে।
>> সোরিয়াসিস এড়াতে মাছ, বাদাম এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এসব খাবার গ্রহণ করুন। এতে প্রদাহ কমবে। সোরিয়াসিস হলে ত্বকে জলপাই তেল ব্যবহার করলে মিলবে উপকার।
>> সোরিয়াসিস থাকলে মানসিক চাপ কমাতে হবে। এজন্য যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মতো অনুশীলনগুলো খুব কার্যকর প্রমাণিত হবে।
>> ধূমপানে আসক্ত থাকলে দ্রুত তা ত্যাগ করা উচিত। ধূমপান এবং তামাক সেবন থেকে সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
নদী বন্দর / এমকে