স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণের মানুষের যোগাযোগ সহজ হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এ অঞ্চলের মানুষের।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বৃহত্তম এ সেতু নির্মাণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশে সরাসরি যোগাযোগের নতুন দ্বার খুলছে। এতে সমুদ্রবন্দর মোংলার গতিশীলতা বাড়বে এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে।
পদ্মার ওপর স্বপ্নের সেতু এখন দৃশ্যমান। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত এক সুতোয় গেঁথে দৃষ্টিসীমায় পূর্ণরূপে ভেসে উঠেছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের সেতুর মূল অবকাঠামো। স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতু এদেশের মানুষের কাছে নতুন প্রেরণার উৎস।
স্থানীয়রা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে আমাদের খানজাহান আলী বিমানবন্দর চালু হবে এবং মোংলা বন্দর আরও গতিশীল হবে। শিল্প কলকারখানাগুলো গড়ে উঠবে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
তারা বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহন করে মোংলাবন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিতে উৎসাহিত হবেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পদ্মা-সেতু দক্ষিণ অঞ্চলের সকল মানুষকে উন্নত করবে। মানুষের বেকারত্ব দূর হবে এছাড়া ব্যবসা করে সংসার পরিচালনা করতে পারবে।
নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার পাশাপাশি দেশের জিডিপিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
নদী বন্দর / এমকে