মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই সাত মাত্রার চেয়ে শক্তিশালী পরপর তিনটি ভূমিকম্পে কেঁপেছে নিউজিল্যান্ড। সেই আতঙ্ক এখনও সবার মন থেকে কাটেনি। এর মধ্যেই দেশটিতে আঘাত হেনেছে চতুর্থ ভূকম্পন। এটিও যথেষ্ট শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) হিসাবে, রিখটার স্কেলে শনিবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।
সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে জিসবর্ন থেকে ১৮১ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে অন্তত নয় কিলোমিটার গভীরে।
তাৎক্ষণিকভাবে শনিবারের ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এদিন সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি। তবে শক্তিশালী কম্পনের জেরে স্থানীয়দের মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, গত শুক্রবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শক্তিশালী তিনটি ভূকিমম্প আঘাত হানে নিউজিল্যান্ডে। এর প্রভাবে দেশটির বিশাল অংশে জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা।
যত দ্রুত সম্ভব উঁচু নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বাসিন্দাদের। পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয় ওপোতিকির মতো কয়েকটি শহর।
বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে পূর্ব উপকূলীয় তোকুমারু বে এলাকার সৈকতে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত ২টা ২৭ মিনিটে নর্থ আইল্যান্ড থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর ভোর ৬টা ৪১ মিনিটে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেরমাডেক আইল্যান্ডে আঘাত করে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প। আর সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে ওই এলাকা আবারও কাঁপিয়ে দেয় ৮ দশমিক ১ মাত্রার প্রচণ্ড শক্তিশালী আরেকটি ভূমিকম্প।
পরপর একাধিক ভূমিকম্পের জেরে নর্থ আইল্যান্ডের বেশিরভাগ এলাকায় জরুরি সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা। পরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সতর্কতা কিছুটা নামিয়ে আনে তারা। আর বিকেল ৩টার পর সুনামি সতর্কতা পুরোপুরি তুলে নেয় সংস্থাটি।
সূত্র: এএফপি, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড
নদী বন্দর / এমকে