দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষার কাজ। মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলার, সাড়ে ৩ কিলোমিটার আধুনিক ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ নদী তীর রক্ষার অসংখ্য স্থাপনা।
সকালে উচ্ছেদ আর বিকেলে দখল, এমন চোর পুলিশ খেলা বন্ধ করতে তুরাগ নদের মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান প্রান্তে করা হয়েছে ওয়াকওয়ে। নিচে ৬০ ফুট গভীর পিলার আর ওপরে ৮ ফুট প্রস্থের হাঁটার পথ। দুই পাশে থাকছে উঁচু রেলিং। মোট ৫২ কিলোমিটারের মধ্যে এখন দৃশ্যমান এমন প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। এ মাসেই শুরু হবে আরো ২৪ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ।
এ ছাড়া সাড়ে ৭ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে বসানো হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি। সব মিলিয়ে ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষার কাজ এখন অনেকটাই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। পণ্য ওঠানামার জন্য এগিয়ে চলছে ৬টি আধুনিক জেটি নির্মাণের কাজ। শেষ হয়েছে এক কিলোমিটার কী ওয়াল বা খাড়া পাড় নির্মাণের কাজ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজের মান রক্ষায় তারা সচেতন।
এস এস রহমান লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম দীপু বলেন, আমরা এখান থেকে মাটি সরাচ্ছি মাত্র ৮ থেকে ১০ ফিট, নদীর লেভেল ঠিক করা জন্য। কিন্তু ৬০ ফিট নিচ থেকে ফাইল করে করার কারণে এই ওয়াকওয়ের কোনো ক্ষতিসাধন হবে না। ১০০ বছরেও এই ওয়াকওয়ের কোনো ক্ষতিসাধন হবে না।
এদিকে তীর রক্ষার কাজ এগোলেও এখনো সীমানা পিলার বসেনি এমপি আসলামের মালিকানাধীন বসিলার পাওয়ার প্ল্যান্টের অবৈধ অংশে। যদিও নৌ প্রতিমন্ত্রী জানান, চিহ্নিত করা শেষ, যে কোনো সময় পিলার বসিয়ে দেয়া হবে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা কিন্তু সীমানা নির্ধারণ করে ফেলেছি যে এটা আমাদের জায়গা এবং যারা এটা দখলে নিয়েছিল তারা কোর্টে গেছে। মহামান্য আদালত কিন্তু তাদের সেই আবেদনকে খারিজ করে দিয়েছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে হয়েছে সেখানে যে কোনো সময় ৪টি পিলার বসিয়ে দেব।
২০২২ এর জুনের মধ্যে তীর রক্ষার এ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে