যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় মাছের পুকুরে বিষ ঢেলে দুই লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এসময় একটি বাড়ি ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ, ও কুড়ে ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে বেনাপোলের পুটখালির শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার (৩ মার্চ) রাতে ফেনসিডিলের একটি চালান পাচারের সময় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়েল হোসেন আটক করেন।
শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইমানুর রহমান বলেন, গত বুধবার রাতে আমিনুর রহমানের কাছ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ১০০ বোতল ফেনসিডিল আটক করে। এরপর সন্দেহ হওয়ায় থানায় ফোন করে জানতে পারি থানায় জমা হয়েছে মাত্র ৪২ বোতল। বাকি ফেনসিডিল এলাকার একজন ইউপি মেম্বারের তিন সহযোগীকে এই ফেনসিডিল নিয়ে যেতে দেখেছে আমিনুর।
এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন উঠলে ওই মেম্বারের নেতৃত্বে তার একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুই লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুকুরে বিষ দিয়েছে মেম্বারের অনুসারী কদমতলা গ্রামের মশিয়ার রহমান, আকাশ হোসেন, ও হৃদয় হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা। এছাড়া আমার ঘরের আসবাবপত্রও ভেঙেছে।
ইমানুরের পিতা ইদ্রিস আলী বলেন, রাত ১টার সময় আমার কুড়েঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় কিছু কুচক্রী এবং একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পুটখালির বারোপোতা গ্রামের মোমিন মেম্বার বলেন, ‘এটি ওদের সাজানো নাটক। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। এরা ফেনসিডিলসহ ধরা খেয়ে আবোল-তাবোল বলছে’।
বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়েল হোসেন বলেন, ‘শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রাম থেকে ৪২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। ওই মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেরা-নিজেরা গোলযোগ করে পুলিশের নামে মিথ্যা কথা বলছে’।
নদী বন্দর / জিকে