সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা শুধু পরিদর্শনে নয়, কাজ নিয়ে এসেছি। নদীর পাড়ে আর্তনাদ নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবে মানুষ। আশা করছি আগামী একনেক সভায় এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেবেন।’
শনিবার (৬ মার্চ) বিকেলে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় ঘাট থেকে স্পিডবোটে করে যমুনার পশ্চিম পাড়ের ভাঙন কবলিত আড়কান্দি, পাকুরতলা, ঘাটাবাড়ি, বাঐখোলা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রকল্প এলাকায় কাজ শুরু হলে যমুনার পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত বহু তাঁত কারখানা, আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে।’
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মণ্ডল, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকনুদ্দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক একেএম ওয়াহেউদ্দীন চৌধুরী, সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও শহিদুল আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এনায়েতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
নদী বন্দর / এমকে