হিমালয়কন্যা খ্যাত দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া কারণে এ জেলায় মানুষের জুবুথুবু অবস্থা। শীতের এমন দাপটে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস নিশ্চিত করেছে৷
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মৃদু কুয়াশা ও কনকনে শীতে মানুষজন গরম কাপড়ের পাশাপাশি খড়খুটো জ্বালিয়ে আগুনের আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যা থেকে এ জেলায় কুয়াশা ও শিশিরবিন্দু শুরু হয়ে সকাল পর্যন্ত স্থায়ী থাকে এবং পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো দেখা গেলেও শীতের মাত্রা তেমন একটা কমছে না। ফলে এ জেলার যারা সাধারণ ও দিনমজুর রয়েছেন তারা পড়েছেন চরম বিপাকে৷
এ বিষয়ে পঞ্চগড় শহরের রিকশাচালক জাকির হোসেন জানান, খুব শীত পরছে। জানি না সামনে যে কি হয়। গরমকাপড় পরে রিকশা চালাই। তারপরও শীতের কামড় থেকে রক্ষা পাই না। আমরা গরীব মানুষ। যখন শীত চলে যায়, তখন শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগিতা করে। আর যখন শীত থাকে তখন কেউ খবর নেয় না। তাছাড়া কেউ পায় আবার কেউ পায় না।
একই কথা বলেন জেলার বোদা উপজেলার বাজারের আব্দুল মালেক। তিনি জানান, আমাদের উপর নির্ভর করে পরিবার। শীত অনেক পরছে কিন্তু শীত নিবারণের মতো তেমন গরম কাপড় নেই। করোনার কারণে বাজারের পুরাতন কাপড়ের দামও অনেক বেশি। আর নতুন কাপড়ের দাম তো আগুন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। হিমালয়ের হিমেল বাতাসের কারণে এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা বেশি করে এবং বেশিরভাগ দিনেই শীতের পাশাপাশি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন পাশাপাশি কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে।
নদী বন্দর / পিকে