পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যে প্রত্যয় রয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এজন্য ৭ মার্চ উদযাপন করতে হবে হাজার বছর ধরে।’
রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সামাজিক রাষ্ট্রীয় ঐক্য নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার পাঠক নিয়ে অনেক বিনোদন দেখা যাচ্ছে। এক ধরনের তামাশা হচ্ছে। দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অগ্রযাত্রায় শ্রম ও ঘাম রয়েছে। এই অগ্রযাত্রার পথ সহজ ছিল না।
বক্তব্যে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে সে সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিনি। দারিদ্র্যতার কঠোর রূপ তিনি দেখেছেন। ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছিল তখনকার জনগণ। এসব দারিদ্র্যতার বিভীষিকাময় ইতিহাস মনে পড়লে এখনও শিহরিত হই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে।
আধুনিক বাংলা রূপান্তর করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্ভাবনাকে বাস্তব করতে ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যকে তলানি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে এই উদযাপন অনুষ্ঠানটি দারিদ্র্যের শেকল ভাঙার উৎসব হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তির কামনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাবে।
দেশব্যাপী ৬৬১টি থানায় এ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়। শুরুতেই একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে