বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় নাগরনদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদী-তীরবর্তী আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের মুখে পড়ছে। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী নাগর নদীর জোরদাহ ও পবনাতলা এলাকায় বুলবুল হোসেন, জয়নালসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী শ্রমিক দিয়ে বালু ও মাটি কেটে অবৈধ ব্যবসা করছেন। আর বালু বা মাটি বিক্রির জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেননি। বালু তোলার ফলে ওই এলাকার আবাদি জমি হুমকিতে পড়ছে। আর প্রতিদিন ট্রাকে করে অবৈধভাবে বালু বহনের কারণে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষক বাছেদ আলী বলেন, ‘কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু ও মাটি উত্তোলন। এ বালু দিয়ে রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। নাগর নদীতে গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তার খেসারত দিতে হয় নদী ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির। অনেক গাছপালা যায় নদীগর্ভে।’
এলাকাবাসী দাবী করছেন, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করার দাবি জানান।
বালু ব্যবসায়ী বুলবুল হোসেন বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই বালু উত্তোলন করছে। মাত্র কয়েক গাড়ি বালু বিক্রি হয়েছে। সবাইকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছি।’
ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী বলেন, ‘বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা মাসিক মিটিংয়ে কথা বলেছি। বালু উত্তোলনের ফলে নদী-তীরবর্তী আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. শারমিন আখতার বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শিগগিরই মাটি ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নদী বন্দর / জিকে