জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সারাদেশের হতদরিদ্র ১০০ মাঝির মধ্যে ১০০টি নৌকা বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের প্রান্তিক জেলেদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাহিনীটি।
এ উপলক্ষে রাজশাহীর টি-বাঁধ এলাকা সংলগ্ন পদ্মা নদীর পাড়ে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম হতদরিদ্র ২৫ জন মাঝির মধ্যে ২৫টি নৌকা, নৌকার পাল, গেঞ্জি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন।
এ সময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বিজিবি রিজিয়ন সদর দফতর রংপুরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কায়সার হাসান মালিক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ, রাজশাহী ব্যাটালিয়ন (১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদসহ রাজশাহী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ডিসি কাশিয়াডাঙ্গাসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের গরিব, দুঃখী ও মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি সবসময় সীমান্তবর্তী হতদরিদ্র ও অসহায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ‘শত নৌকায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বিজিবি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শতবর্ষের সমার্থক হিসেবে ১০০টি নৌকা প্রান্তিক জেলেদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে দেয়া হলো। এ নৌকা প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জেলেরা সঠিকভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে এবং স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদের স্বনির্ভর হবার প্রেরণা জোগাবে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এই ১০০টি নৌকা শুধুমাত্র ১০০ জন জেলেকেই নয় বরং ১০০টি পরিবার ও পরিবারের সদস্যদেরও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাবে। সীমান্তের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যতই স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে সীমান্ত সংক্রান্ত অপরাধ এবং চোরাচালান ততই হ্রাস পাবে।
এ জাতীয় অনুষ্ঠান আগামী দিনগুলোতে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ ও বিজিবিকে নব-উদ্দীপনায় সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান দমনের পাশাপাশি দেশ ও সমাজ গঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণে প্রেরণা জোগাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নদী বন্দর / জিকে