বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা বন্দরে আয়রন সেতুটি ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ ) সকালে সেতুর এক প্রান্তে লোহার খাম্বা দেবে গিয়ে সিমেন্টের স্ল্যাব একদিকে হেলে পড়ে। এতে উপজেলার চার ইউনিয়নের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ২০০১ সালে উজিরপুর থেকে সাতলা সড়কে ধামুরা নদীর ওপর ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৪ মিটার প্রস্থ সেতুটি তৈরি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। উপজেলা সদরের সঙ্গে সাতলা, হারতা, জল্লা ও ওটরা ইউনিয়নে সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র সেতু ছিল এটি। তাছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসসহ ৪ ইউনিয়নের যানবাহন চলাচল করতো।
বছরখানেক ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল সেতুটি। সেতুর মাঝে ও বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় কয়েকবার মেরামত করা হয়। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে গত ৪ মাস আগে সেতুর পূর্ব পাশে ভারী যান চলাচল নিষেধ লেখা সাইনবোর্ড লাগানো হয়। তবে দেখভালের লোক না থাকায় হরহামেশাই সেতুর ওপর দিয়ে বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সান্টু মোল্লা জানান, ধামুরা একটি ঐতিহ্যবাহী বন্দর। এই বন্দরে আসা-যাওয়ার জন্য ধামুরা নদীর ওপর ছোটবড় আটটি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। একটি সেতু চার বছর আগে ভেঙে পড়ায় ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বর্তমানে উজিরপুরে চারটি ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সেতুটিও ভেঙে পড়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
এলজিইডির উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি অনেক পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মেরামতের জন্য কয়েকমাস আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়। ভারী যান চলাচল নিষেধ ছিল সেতুটিতে। তবে এরপরও নিষেধ অমান্য করে ভারী যানবাহন চলাচল করে আসছিল। ফলে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
নদী বন্দর / এমকে