ঢাকার বিমানবন্দরে আমদানি করা ৩০টি গরু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ব্রাহমা জাতের গরুগুলো আমদানি নিষিদ্ধ থাকার পরেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আনা হচ্ছিল। এ জাতের গরু বাংলাদেশে পালন ও উৎপাদন নিষিদ্ধ না হলেও ২০১৬ সালে এক নীতিমালা দিয়ে এই জাতটিকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক করা ব্রাহমা গরুগুলোকে আনা হচ্ছিলো ফ্রিজিয়ান জাত বলে। দেশের আইন বহির্ভূতভাবে আমদানি করার কারণে ব্রাহমা জাতের গরুগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে কেন আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু
পশু কোরবানির জন্য ভারত থেকে একটা বড় অংশ আমদানি করা হতো। তবে ২০১৪ সালে ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধে সীমান্তে কড়াকড়ি করা হয়। যে কারণে এক পর্যায়ে দেশীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা পূরণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সরকার বলেন, ভারত থেকে গরু আমদানি কমে যাওয়ার পর, দেশের মাংসের চাহিদা পূরণে সরকার ব্রাহমা গরু উৎপাদনের দিকে যায়। ব্রাহমা জাতের গরু পালন সহজ ও লাভজনক। রোগ বালাইও অন্যান্য জাতের গরুর চেয়ে কম হওয়ায় স্থানীয় খামারিদের কাছে এই গরু অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বর্তমানে বাংলাদেশে গরুর মাংসের চাহিদা একটি বড় অংশ আসছে ব্রাহমা জাতের গরুর মাংস থেকে। কিন্তু ২০১৬ সালে সরকারের কৃত্রিম প্রজনন নীতিমালার অধীনে বেসরকারিভাবে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে খামারিদের মাধ্যমে ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ডা. সরকার আরও বলেন, এখন খামারিরা সরকারের কাছ থেকে সিমেন নিয়ে প্রজনন ঘটাচ্ছে। তবে আমদানি করার অনুমতি পেলে খামারিরা ব্যাপক হারে এই গরু উৎপাদন করবে।
ব্রাহমা জাতের গরু তার আকৃতি অনুযায়ী বেশি দুধ দেয় না। এখন খামারিরা যদি ব্যাপক হারে ব্রাহমা উৎপাদন করে তাহলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন কমে যাবে। মূলত সেই জন্যই বেসরকারি পর্যায়ে ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দুগ্ধ উৎপাদন খাতকে সুরক্ষা দেবার জন্য এ জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে