পঞ্চগড়ের বোদায় চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারনে আমের বাগান গুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছে। বাগান মালিকরা বেজায় খুশি। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভাল ফলন পাবার প্রত্যাশা করছেন আম বাগান মালিকরা। এখন হপার পোকার সংক্রমণ রোধ ও আমের গুটি যেন ঝরে না যায় সে লক্ষে গাছের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা। আম পাড়ার ভরা মৌসুমে কাংক্ষিত দাম ও একটি কাঁচামাল সংরক্ষাণাগারের দাবি আম চাষিদের।
এ এলাকার উৎপাদিত আমের মধ্যে সুর্যাপুরি, বোম্বাই, ল্যাংড়া, আম্রপালি ইত্যাদি। ফড়িয়ারা এখানকার উৎপাদিত আম কিনে রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকে। এ বছর শীতের প্রকোপ তেমন হয়নি।
এখনই রোদ্রের তাপ বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার বৈরীতায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখি ঝড় হলে আমের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে এবার যেভাবে মুকুল এসেছে তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ভাল ফলন নিশ্চিত করতে হপার পোকার সংক্রমণ রোধ ও আমের গুটি যেন ঝরে না যায় সে লক্ষে বর্তমানে গাছের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন আম বাগান মালিকরা। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে এবার উপজেলায় ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আম চাষীরা জানান, এ অঞ্চলের আম খেতে খুবই সুস্বাদু।
বিগত দশ বছরের থেকে এবার বেশি মুকুল এসেছে আম গাছে। তাদের আশা আমের বাম্বার ফলনের। চাষীদের দাবী সরকারের অনান্য চাষে ভূর্তুকির মতো আম চাষীদের যেনো ভর্তুকি দেয়া হয়। তাহলে আম চাষে এই জেলায় সবুজ বিপ্লব ঘটবে। এছাড়াও আম পাড়ার ভরা মৌসুমে এই এলাকায় আমের দাম কমে যায়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নিকট একটি কাঁচামাল সংরক্ষাণাগার স্থাপনের দাবি বাগান মালিকদের।
এ ব্যাপারে বোদা উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন অর রশিদ বলেন, উপজেলার আম বাগানগুলিতে ব্যাপক মুকুল এসেছে। আমের ফলন যাতে ভাল হয় তার জন্য প্রতিনিয়ত সঠিক পরিচর্যা ও পোকামাকড় দমনে বালাইনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা।
নদী বন্দর / পিকে