1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ড্রেজিং প্রকল্পের বালু ডাম্পিং ইস্যুতে মুখোমখি অবস্থানে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসি - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৬৫ বার পঠিত

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ড্রেজিং প্রকল্পের বালু ডাম্পিং (ভরাট) ইস্যুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসি মুখোমখি অবস্থান নিয়েছে। কৃষি জমি ও মৎস্য খামারের ক্ষতিপূরন না দিয়ে জোরপূর্বক ডাইক নির্মান ও বালু ডাম্পিং প্রচেষ্টার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন- ফসলি জমি ও জলাভূমির শ্রেনী বিন্যাশে হুমকির মুখে পড়বে জীববৈচিত্র্য স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা।

আর চলতি ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মৌসুমে উড়ো বালুর আগ্রাসনে বসবাসের অনুপযোগি পরিবেশের শংকায় চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন শত শত গ্রামবাসী। তাদের দাবী-বন্দর কর্তৃপক্ষ পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই নাম মাত্র ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দিয়ে ফসলি জমি ও মৎস্য ঘেরে বালু ডাম্পিং প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এ অবস্থায় জমির মালিক-সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

সোমবার সকাল ৯ টায় থেকে দুপুর ১২ টা নাগাদ নারী-পূরুষ সহ শত শত গ্রামবাসী তাদের ফসলি জমি ও চিংড়ি ঘেরে রক্ষার দাবীতে সমবেত হন পশুর নদীর তীরবর্তী চিলা ইউনিয়নের সুন্দরতলা এলাকায়।

এ সময় মানববন্ধন সমাবেশ সহ সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ আলম গাজী লিখিত বক্তব্যে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত চীনা কোম্পানি জমির মালিকদের কিছু না জানিয়ে কৃষি জমি ও মৎস্য ঘের শুকিয়ে বালু ডাম্পিং করার জন্য গত দু’সপ্তাহ ধরে ডাইক নির্মান শুরু করেছে। পরে তারা এ বিষয় আপত্তি জানালে-১০ বছরের ক্ষতিপূরন দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ কিন্তু কৃষি-মৎস্য ঘেরের জমিতে বালু ডাম্পিং করা হলে জীবন – জীবিকার উৎস বন্ধ হবে।

গ্রামবাসিরা জানান,যে জমিতে তারা ধান উৎপাদন করেন সেই একই জমিতে মৎস চাষ করে সংসার চালাতে হয়। তাই ধান উৎপাদন ও মাছের চাষ বন্ধ হলে বেকারত্ব সহ পথে বসবে অসংখ্য পরিবার। এ ছাড়া বালু ভরাটের কারেন আগামী ৫০ বছরের জন্য চরম দূরাবস্থা এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

তাই ফসলি-মৎস্য চাষের জমিতে নদী ড্রেজিংয়ের বালু ডাম্পিংয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন জমির মালিক ও গ্রামবাসী। আর এ জন্য কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষ -চীনা ড্রেজিং কোম্পানি এবং মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বাপা’র বাগেরহাট জেলা সমন্বয়কারী নুর আলম শেখ বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মতামত নিয়ে প্রকল্প গ্রহন করা উচিৎ।

আলোচনা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহন ঠিক হয়নি। জমির মালিকদের যে ১০ বছরের ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য ফসল সহ পরিবেশগত ক্ষতির মুখে পড়েবেন ফসলি জমির মালিক-সাধারণ মানুষ।

এ বিষয় মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, ড্রেজিং প্রকল্পের বালু ডাম্পিং করার জন্য ১০ ফুট উচ্চতার ডাইক নির্মান ও ৮ ফুট পর্যন্তু বালু ভরাট করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত উচ্চতায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকাবাসির উত্থাপিত নানা অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তাকে সঙ্গে সরোজমিন পরিদর্শনে অনেক অসংগতি পাওয়া যায়। এ সকল বিষয় জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৭শ’৯৪ কোটির টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ইনার বার ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। আর ড্রেজিং প্রকল্পের কাজের জন্য দুটি চীনা কোম্পানিকে চুক্তি হয়েছে। গত ১৩ মার্চ নৌ প্রতিমন্ত্রী মাটি ভনন কাজের উদ্বোধন করেন এবং সেই থেকে শুরু হয়েছে নদী খননের কাজ। নদী খননের বালু ডাম্পিং করার জন্য ১ হাজার একর ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের এলাকা ক্ষতিপূরন দিয়ে নেয়া হবে ।

এ ছাড়া ৫শ’ একর সরকারি খাস জমি চিহিৃত করা হয়েছে। নদীর বালু ডাম্পিং বিষয় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে প্রধান প্রকৌশলী (সি ও হা) ড্রেজিং প্রকল্প কর্মকর্তা শওকত আলী জানান, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জমির প্রকৃত মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থদের ১০ বছরের জন্য ক্ষতিপূরন দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তালিকা প্রনয়ন সহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ রয়েছে। শিগগিরই প্রকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরনের অর্থ প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, সুবিধা ভোগীরা এ নিয়ে নানা চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com