বসন্তের শেষে এসে বাড়ছে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাষণে গ্রীষ্মকে বরণের অপেক্ষা যেন প্রকৃতির। দূর হয়েছে জনজীবনে হাঁসফাঁস তোলা তাপপ্রবাহ। একে তো করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের জীবন, এর ওপর গরম কমে বসন্তের প্রকৃতি পেয়েছে এক মনোরম রূপ।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বসন্তের দ্বিতীয় মাস চৈত্রের ২৫ তারিখ। আর ৫ দিন পরই পহেলা বৈশাখ, প্রকৃতিতে পা রাখবে ‘রুদ্র তাপস’ গ্রীষ্ম।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে বুধবার তা কমে হয়েছে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর পাঁচ বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এ সময়ে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী তিন দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে অধিদফতর জানিয়েছে আবহাওয়া মোটামুটি এ রকমই থাকবে। তবে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে রোদ-মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। রংপুরে ২ মিলিমিটার, সৈয়দপুরে ১ মিলিমিটার ও রাজারহাটে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
নদী বন্দর / পিকে