1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
‘অভিযোগ নিয়ে গড়িমসি’: মোহাম্মদপুরের ওসির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ - Nadibandar.com
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে ‘গড়িমসি’ করার অভিযোগে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মোহাম্মদপুর থানার সামনে শুক্রবার বিকাল ৫টায় বিক্ষোভ থেকে তারা ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার পাশাপাশি ‘চাঁদাবাজ, চোর চক্র ও ছিনতাইকারীদের সঙ্গে আঁতাতের’ অভিযোগও তোলেন। তাকে থানা থেকে অপসারণের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদপুরে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে থানায় যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘গড়িমসির’ অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী।

ওই ভুক্তভোগী অভিযোগ দেওয়ার পর মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান তাকে বলেন, “আমি ওসি হয়েও এই কমদামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!”

অভিযোগকারী বলছেন, থানায় যাওয়ার পর ‘অভিযোগ লেখার জন্য অতিরিক্ত মানুষ’ নেই বলেও তার সঙ্গে ‘অসহযোগিতা’ করা হয়। পরে কাগজ দেওয়া হলেও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য তাকে বলেন, ‘কলম নেই’।

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এসআই জসিম উদ্দীন, এএসআই মো. আনারুল ইসলাম ও দুই কনস্টেবল মো. মাজেদুর রহমান এবং মো. শিহাব উদ্দিন শিহাবকে প্রত্যাহার করার কথা জানান ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা।

একইসঙ্গে শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীর ফোনটিসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর কয়েক ঘণ্টা পর মোহাম্মদপুর থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিলে পারভেজ হাসান সুমন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “এ থানার ওসি বিরুদ্ধে বাসিন্দাদের সঙ্গে অসদাচরণ, আইনি সহায়তা না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও তাকে অপসারণ করছে না। তিনি মোহাম্মদপুরের মতো একটা ক্রাইম জোনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন, যার ফলে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হচ্ছে।”

এতো অভিযোগ, অসদাচরণের পরও তাকে অপসারণ না করায় স্থানীয়রা ‘ভীত সন্ত্রস্ত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সুমনের অভিযোগ, “বিভিন্ন সময়ে ওসির অসদাচরণের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই ওসি ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরও তার তদন্ত হয় কিনা একমাত্র পুলিশ প্রশাসনই জানে। আমরা এ ওসির দ্রুত অপসারণ চাই।”

ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, “আমরা দীর্ঘ দিন ওসির এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করে আসছি। তার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”

স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় সেবা নিতে গেলে নানাভাবে ‘অসদাচরণের শিকার’ হচ্ছেন বলেও তার অভিযোগ।

অভিযোগের বিষয়ে ওসি আলী ইফতেখার হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তবে অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা বলছেন, ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি ‘তদন্তাধীন’।

মোহাম্মদপুর থানায় বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি ‘দৃষ্টিগোচর’ হওয়ার কথা তুলে ধরেছে পুলিশ সদর দপ্তরও। ‘পুলিশ সদস্যের অসদাচরণের’ জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেইসবুক পোস্টে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com