ভোলায় এ মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলনের পরও শেষ মুহূর্তে লকডাউনের কারণে হতাশ কৃষক ও বেপারিরা। মৌসুমের শুরুতে তরমুজ ক্ষেতে ঢাকা-চট্টগ্রামের বেপারিদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এখন নেই একেবারেই। ফলে শেষ মুহূর্তে লাভের পরিবর্তে লোকসানের আশঙ্কা চাষিদের।
তবে কঠোর লকডাউন অব্যাহত থাকলে বিকল্প উপায়ে তরমুজ বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, চরফ্যাশনের নজরুল নগরের কৃষক জেবল হক ক্ষেতের তরমুজ কেটে সারি সারি স্তূপ করে রেখেছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। ফলন পাকার আগে বেপারিরা অগ্রিম দাম দর করলেও সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হওয়ায় ক্রেতা পাচ্ছেন না।
ভেলুমিয়ার টুমচরের চাষি আ. বাছেদ প্রথম মৌসুমে ৪৮ শতাংশ জমির তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হন। এখন ক্রেতা না থাকায় বাকি ৬০ শতাংশ জমির তরমুজ নিয়ে লোকসান আতঙ্কে আছেন। জেবল হক আর বাছেদের মতো কয়েকশ’ চাষি শেষ মৌসুমের তরমুজ নিয়ে চরম বিপাকে।
এদিকে লকডাউনের কারণে বেচাকেনা সীমিত হওয়ায় মোকামে চাহিদা কমায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি বেপারিদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলছেন, কৃষকের ক্ষতি এড়াতে লকডাউন দীর্ঘ হলে বিকল্প উপায়ে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হবে।
জেলায় এ বছর সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে