করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে, চলমান লকডাউনের ভেতরেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। সোমবার (১৯ এপ্রিল) ভোর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে, ভুয়া পরিচয়ে ফেরি ও ট্রলারে করে নদী পার হতে দেখা অনেককেই।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া উভয় ঘাট এলাকায় বিভিন্ন চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে, অনেকে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ঘাটে আসে। এরপর ফেরি পার হয়। যেহেতু এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর ফেরি ছাড়ে, সে কারণে অনেকেই কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়েও অনেকে ট্রলারে পদ্মা পার হচ্ছে। এ ছাড়া মানুষকে গাদাগাদি করেও ফেরিতে উঠছে।
আহম্মেদ নামের একজন জানান, তিনি ঢাকাতে থাকতেন ৩ ঘণ্টা মুভমেন্ট পাস নিযে ঢাকা থেকে ঘাটে এসেছেন। তাই তাড়াহুড়ো করে ট্রলারে পার হচ্ছেন।
আরিফ একজন মেডিকেল ছাত্র জানান, তিনি অনেক দিন ঢাকাতে ছিলেন। সামনে লকডাউন আরও বাড়তে পারে, তাই আটকেপড়ার চেয়ে ভোর রাতে যখন চেকপোস্ট শিথিল থাকে সেই সুযোগে মুভমেন্ট পারমিট ছাড়াই ঘাটে এসেছেন।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, সংবাদকর্মী, ডাক্তার, বিদ্যুৎকর্মী পরিচয়ে ঘাট এলাকায় এসেছেন।
পাটুরিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রাতের দিকে সহস্রাধিক যানবাহন পার হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে দিনে চলছে বনলতা, ঢাকা ও মাধবী লতা নামের ৩টি ফেরি।
তিনি বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় যানবাহন ৩টি ফেরি দিয়ে পার করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে যারা ঘাটে আসছে তারাও দু-একজন যাচ্ছে। তাদের নিষেধ করলেও কোনো ফল হচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে।’
নদী বন্দর / জিকে