ইতালির ১৫টি অঞ্চলকে হলুদ জোন ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে এসব অঞ্চলে চলাচল শিথিল করা হয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে এসব অঞ্চলের বার, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা, থিয়েটারসহ সকল প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে পারবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতালিতে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেক কমেছে, তবে এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়। এ অবস্থা বিবেচনায় রেখে দেশটির সরকার ঝুকিপূর্ণ অঞ্চলকে আলাদা করে শিথিলতার ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোবেরতো স্পেরেন্সা শনিবার (২৪ এপ্রিল) নতুন নিয়মের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইতালিতে এখনও দৈনিক গড়ে ১৫ হাজার আক্রান্ত এবং মৃত্যু গড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। দেশটিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা দেয়া হচ্ছে ৬৫
ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের। তবে নার্স, ডাক্তার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বয়সসীমার বাইরে।
হলুদ জোনে ফিরে আসায় ইতালির প্রায় ৫ কোটি নাগরিকের চলাচল শিথিল হয়েছে। তারা বাইরে রেস্টুরেন্ট, বারে খেতে পারবেন, তবে কেউ ভেতরে বসতে পারবেন না। রেস্টুরেন্ট ও বারের বাইরে টেবিলে বসে খেতে পারবেন। শুধুমাত্র সিনেমা, থিয়েটারে চেয়ারে বসা যাবে, রাত ৯টার পর বন্ধ করতে হবে এসব প্রতিষ্ঠান। ১০টা থেকে জারি হবে কারফিউ।
এদিকে, দেশটির বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগে এ ভাইরাসটি আবার আঘাত হানতে পারে।
ইতালিতে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে সংক্রমণের হার নিচে নেমে এসেছে, তবে তা লক্ষণীয় মাত্রায় নয়। হলুদ জোনের ১৫ অঞ্চলে যেতে আগের মতো এখন আর প্রশাসনের কাছে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না নাগরিকদের। পাশাপাশি পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।
হলুদ জোনের আওতায় এসেছে আব্রুজ্জো, ক্যাম্পানিয়া, এমিলিয়া-রোমানা, ফ্রিউলি ভেনিজিয়া গিউলিয়া, লাজিও, লিগুরিয়া, লম্বার্ডি, মোলিস, মার্কে, পাইডমন্ট, বলজানো, ট্রেন্টো, টুসনি, আম্বরিয়া এবং ভেনেটো অঞ্চল। তবে ইতালির দক্ষিণে সারদেনিয়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে লাল জোন অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য নিজেদের মহামারির বাইরে বলে ঘোষণা করেছে। ভ্যাকসিনের কারণে সেকানে সংক্রমণ ৯০ শতাংশ কমেছে যা ইউরোপের জন্য ইতিবাচক বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।
নদী বন্দর / এমকে